

বিশ্বাস করি, শিক্ষাই একটি শিশুর উজ্জ্বল ভবিষ্যতের চাবিকাঠি।বাংলাদেশের অনেক শিশুই দারিদ্র্যের কারণে শিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয় আল আনকাবূত ফাউন্ডেশন নিম্নআয়ের পরিবারের শিশুদের জন্য শিক্ষার অধিকার নিশ্চিত করতে একটি বিশেষ প্রোগ্রাম চালু করেছে। আমাদের উদ্দেশ্য হলো, রিদ্র পরিবারের শিশুদের স্কুল ফি, বই, ইউনিফর্ম, স্টেশনারি ও অন্যান্য শিক্ষাসামগ্রী সরবরাহ করে তাদের শিক্ষাজীবনকে সমৃদ্ধ করা। এই আনকাবূত ফাউন্ডেশন এর মাধ্যমে, তাদের সন্তানদের শিক্ষা গ্রহণে প্রেরণা জোগাতে সাহায্য করছি আমরা।

আমাদের সমাজে বহু বিধবা নারী রয়েছেন, যারা নিঃস্ব, অবহেলিত ও নিরুপায় হয়ে একাকী সংগ্রাম করে যাচ্ছেন। তারা যেমন আর্থিক সংকটে ভোগেন, তেমনি সমাজের অবজ্ঞা ও অবহেলাও তাদের পথকে আরও কঠিন করে তোলে। আল আনকাবূত ফাউন্ডেশন বিশ্বাস করে, সহানুভূতি, সমর্থন এবং সঠিক উদ্যোগের মাধ্যমে এই নারীদের জীবনে পরিবর্তন আনা সম্ভব। বিধবা মহিলাদের আর্থিক অনুদান প্রদানের পাশাপাশি তাদের জন্য আত্মনির্ভরশীলতা অর্জনের পথ তৈরি করা

অসংখ্য মানুষ প্রতিদিন চিকিৎসার অভাবে কষ্ট পান—কারো প্রয়োজন অপারেশন, কারো প্রয়োজন জরুরি ওষুধ বা চিকিৎসা সেবা। চিকিৎসা সেবা সহায়তা একটি মানবিক উদ্যোগ, যেখানে আমরা দরিদ্র ও অসহায় রোগীদের পাশে দাঁড়াই প্রয়োজনীয় আর্থিক সহায়তা দিয়ে।
আপনার সহযোগিতা একজন রোগীর জন্য হতে পারে নতুন জীবনের সুযোগ। আমরা প্রতিটি সহায়তা স্বচ্ছভাবে সরাসরি রোগীর চিকিৎসায় ব্যয় করি।
আপনার সাহায্যই কারো জীবনে ফিরিয়ে আনতে পারে হাসি।
সহযোগিতার হাত বাড়ান | জীবন বাঁচান

বাংলাদেশের দরিদ্র ও কর্মহীন জনগণের জন্য একটি উল্লেখযোগ্য প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করছে। আমাদের মূল লক্ষ্য হলো, দেশের দরিদ্র বেকার জনগণের জন্য দীর্ঘমেয়াদী কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং তাদের দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন করা। এতে করে শুধু কর্মসংস্থান নয়, এটি দেশের অর্থনীতির সার্বিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি এবং প্রশিক্ষণ কর্মসূচি পরিচালনার মাধ্যমে আমরা উদ্যোক্তা তৈরি করতে চাই, যা ক্ষুদ্র ব্যবসা, কৃষি খাত, কারিগরি দক্ষতা উন্নয়ন এবং আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে অর্জিত হবে।

আমাদের ঘর ও মসজিদ নির্মাণ” প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হলো অসহায় ও দরিদ্র মানুষের জন্য একটি সম্মানজনক জীবনযাত্রার ভিত্তি তৈরি করা। আমরা বিশ্বাস করি, একটি নিরাপদ আশ্রয় এবং ইবাদতের জন্য একটি পবিত্র স্থান – মানবিক মর্যাদার গুরুত্বপূর্ণ দুটি উপাদান। এই প্রকল্পের মাধ্যমে আমরা গৃহহীনদের জন্য টেকসই ও বাসযোগ্য ঘর নির্মাণ করছি, যাতে তারা শান্তি ও নিরাপত্তার সঙ্গে বসবাস করতে পারে। একইসাথে, সুবিধাবঞ্চিত অঞ্চলে মসজিদ নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে, যেন প্রত্যন্ত এলাকার মানুষজনও পায় নামাজ আদায়ের উপযোগী পরিবেশ এবং ধর্মীয় চর্চার সুযোগ।যেখানে মানুষ নিরাপদ, সংযুক্ত এবং আত্মমর্যাদায় জীবন যাপন করতে পারে।

বাংলাদেশের মানুষ প্রায়ই প্রাকৃতিক দুর্যোগ—বিশেষ করে বন্যার মুখোমুখি হয়। পানির ঢল, নদীভাঙন ও দীর্ঘস্থায়ী বন্যায় হাজারো মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়ে। তারা আশ্রয় নেয় রাস্তায়, স্কুল-কলেজে, বা খোলা আকাশের নিচে। সেই সঙ্গে ভাইরাসের সংক্রমণ দুর্দশাকে আরও গভীর করে তোলে। এই সংকটে আল আনকাবূত ফাউন্ডেশন দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়ায়। আমরা পৌঁছে দিই জরুরি ত্রাণ সহায়তা—শুকনো খাবার, বিশুদ্ধ পানি, ওষুধ, পোশাক ও নিরাপদ আশ্রয়। আমাদের কাজ শুধু ত্রাণ বিতরণে সীমাবদ্ধ নয়—আমরা চেষ্টা করি পরিবারগুলোকে আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে। আপনার একটি ছোট সহায়তা কাউকে এনে দিতে পারে নতুন আশার আলো।
আল-আনকাবূত ফাউন্ডেশন হচ্ছে একটি সেবামূলক, অরাজনৈতিক এবং অলাভজনক ফাউন্ডেশন যাদের মূল উদ্দেশ্যই হচ্ছে গরিব, অসহায়, দুস্থ, মিসকিন, অভাবী, এতিম, বিধবা, নিম্নবিত্ত ও কর্মহীন মানুষদের সাহায্য ও সহযোগিতা করা। এই লক্ষ্যেই ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসের ২০ তারিখে আল আনকাবূত ফাউন্ডেশনের যাত্রা শুরু হয়। মূলত প্রচলিত ধ্যান ধারণা থেকে বের হয়ে এসেই এরকম একটা ফাউন্ডেশন তৈরি করা। সমাজের গরিব, অসহায়, অপদস্থ নানা শ্রেণীর মানুষদের জীবন-মান উন্নয়নের দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে আল আনকাবূত ফাউন্ডেশন।
مَثَلُ الَّذِينَ يُنفِقُونَ أَمْوَالَهُمْ فِي سَبِيلِ اللَّهِ كَمَثَلِ حَبَّةٍ أَنبَتَتْ سَبْعَ سَنَابِلَ فِي كُلِّ سُنبُلَةٍ مِائَةُ حَبَّةٍ ۗ وَاللَّهُ يُضَاعِفُ لِمَن يَشَاءُ ۗ وَاللَّهُ وَاسِعٌ عَلِيمٌ
যারা আল্লাহর পথে নিজেদের অর্থ ব্যয় করে, তাদের দৃষ্টান্ত এ রকম যেমন একটি শস্য দানা সাতটি শীষ উদগত করে (এবং) প্রতিটি শীষে একশ’ দানা জন্মায়। আর আল্লাহ যার জন্য ইচ্ছা করেন (সওয়াবে) কয়েক গুণ বৃদ্ধি করে দেন। আল্লাহ প্রাচুর্যময় (এবং) সর্বজ্ঞ।
সূরাঃআল-বাকারা ( Al Baqara ) আয়াতঃ ২৬১
সন্দেহ নেই, মুমিন তো তারাই, আল্লাহর নাম উচ্চারিত হলে যাদের অন্তর ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে, যখন তাদের নিকট তাঁর আয়াতসমূহ তিলাওয়াত করা হয় তখন তা তাদের ঈমানকে বাড়িয়ে দেয় এবং তারা তাদের প্রভুর ওপর ভরসা করে; যারা যথারীতি নামায আদায় করে এবং আমি তাদের যে রিজিক দিয়েছি তা থেকে তারা ব্যয় করে। এরাই হচ্ছে প্রকৃত মুমিন। তাদের জন্য তাদের প্রভুর নিকট রয়েছে সুউচ্চ মর্যাদা, ক্ষমা ও সম্মানজনক রিজিক। (সূরা আনফাল : ২-৪)।
তারা আল্লাহর ভালোবাসায় গরিব, এতিম ও বন্দিকে খাদ্য দান করে। তারা বলে, আমরা তোমাদেরকে কেবলমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য খাওয়াচ্ছি, আমরা তোমাদের কাছ থেকে কোনো প্রতিদান বা কৃতজ্ঞতাও চাই না।
সূরা আল-ইনসান (৭৬:৮-৯)
আল আনকাবূত ফাউন্ডেশন হচ্ছে একটি সেবামূলক, অরাজনৈতিক এবং অলাভজনক ফাউন্ডেশন যাদের মূল উদ্দেশ্যই হচ্ছে গরিব, অসহায়, দুস্থ, মিসকিন, অভাবী, এতিম, বিধবা, নিম্নবিত্ত ও কর্মহীন মানুষদের সাহায্য ও সহযোগিতা করা। এই লক্ষ্যেই ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসের ২০ তারিখে আনকাবূত ফাউন্ডেশনের যাত্রা শুরু হয়। মূলত প্রচলিত ধ্যান ধারণা থেকে বের হয়ে এসেই এরকম একটা ফাউন্ডেশন তৈরি করা। সমাজের গরিব, অসহায়, অপদস্থ নানা শ্রেণীর মানুষদের জীবন-মান উন্নয়নের দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে আল আনকাবূত ফাউন্ডেশন।
আমরা গরিব ও এতিম শিশুদের পড়ালেখার খরচ বহন করে থাকি। আমরা আমাদের সাধ্যমতো সে সব শিশুদের যত্ন নিয়ে থাকি। প্রত্যেক মাসে তার পড়ালেখার জন্য যে পরিমাণ খরচ হয়, তার সবটায় বহন করে থাকি। তার পড়াশোনার খরচ ততদিন পর্যন্ত বহন করা হয় যতদিন না সে পড়াশোনা শেষ করে কর্মসংস্থানে প্রবেশ করে।
দুস্থ ও অসহায় মানুষের সার্বিক জীবন-মান উন্নয়নে আমরা কাজ করে থাকি। তাদের প্রায়োজন অনুযায়ী আমরা প্রায়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করি। রিকশা, ছোট মুদি দোকান, হাঁস-মুরগি, ছাগল-গরুর খামার দিয়ে তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হয়। এবং তারা যাতে অর্থনৈতিকভাবে সাম্বলম্বী হয় সেজন্য যথেষ্ট সাহায্য সহযোগিতা করা হয়।
وَ الَّذِينَ آمَنُوا وَ عَمِلُوا الصَّلِحَتِ لَنُكَفَرَنَّ عَنْهُمْ سَيَأْتِهِمْ وَ لَنَجْزِيَنَّهُمْ أَحْسَنَ الَّذِي كَانُوا يَعْمَلُوْنَ
আর যারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে, অবশ্যই আমি তাদের থেকে তাদের পাপসমূহ দূর করে দেব এবং আমি অবশ্যই তাদের সেই উত্তম আমলের প্রতিদান দেব, যা তারা করত। -সূরাঃ আল-আনকাবূত ( আয়াত- ৭)
সমাজের দরিদ্র, অসহায় ও এতিম শিশু যাঁদের পড়ালেখার খরচ বহন করার মত কেউ নেই, আমরা তাদের পড়ালেখা বাবদ প্রতি মাসে অর্থায়ন করে থাকি।
যে সকল রোগীর জরুরী মূহূর্তে রক্তের প্রায়োজন পড়ে আমরা তাদের রক্তদাতা খুঁজে পেতে সহযোগিতা করে থাকি।
যে সকল দুস্থ ও অসহায় মানুষ তাদের চিকিৎসা সেবার খরচ বহন করতে অক্ষম আমরা তাদের প্রায়োজনীয় চিকিৎসা সেবা ও ওষুধ প্রদান করে থাকি।
গরিব, অসহায় ও দুস্থ মানুষের কর্মসংস্থানে আমরা কাজ করে থাকি। তাদের প্রায়োজন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করে তাদের কর্মের ব্যবস্থা করা হয়।
আল- কুরআন
যারা আল্লাহর পথে তাদের সম্পদ খরচ করে, তারপর দানের কথা মনে করিয়ে খোটা দেয় না বা কোনো কষ্টও দেয় না, তারাই তাদের রবের কাছে প্রতিদান পাবে, তাদের কোনো ভয় নেই, তারা কোনো দুঃখও করবে না।
আল-বাকারাহ ( আয়াত ) - ২৬২
আল-আনকাবূত ফাউন্ডেশন অসহায় ও এতিম শিশুদের শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে সমাজে পরিবর্তন আনার লক্ষ্যে কাজ করছে। এই ফাউন্ডেশনটি তাদের জন্য একটি সুরক্ষা ও সহায়তার পরিবেশ সৃষ্টি করেছে, যেখানে তারা শুধু শারীরিকভাবে নয়, মানসিক ও শিক্ষাগত দিক থেকেও উন্নতি করতে পারে। আল-আনকাবূত ফাউন্ডেশন বিশ্বাস করে যে, প্রতিটি শিশুর মধ্যে অসীম সম্ভাবনা রয়েছে, এবং তাদের শিক্ষা ও যত্নের মাধ্যমে এক নতুন ভবিষ্যতের দিকে পথপ্রদর্শন করা সম্ভব।
আল-আনকাবূত ফাউন্ডেশন নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে সাধারণ মানুষের জন্য উন্নত ও সহজলভ্য চিকিৎসা সেবা প্রদান করতে। আমাদের উদ্দেশ্য হলো সমাজের অসহায় ও দরিদ্র মানুষের জন্য সঠিক চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করা, যাতে তারা শারীরিকভাবে সুস্থ ও শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারে।যাতে প্রত্যেক মানুষ সহজেই চিকিৎসা সেবা পেতে পারে এবং তাদের জীবনযাত্রা উন্নত হয়।একে অপরের পাশে দাঁড়িয়ে, আমরা সমাজের সবার জন্য একটি সুস্থ ও উন্নত ভবিষ্যত গড়ে তুলতে চাই।"
আল-আনকাবূত ফাউন্ডেশন অসহায় ও দরিদ্র মানুষদের জন্য নিরাপদ আশ্রয় তৈরি করার প্রতিশ্রুতি নিয়ে কাজ করছে। আমাদের বিশ্বাস, একটি ঘর শুধু শারীরিক আশ্রয় নয়, এটি একটি মানুষের মর্যাদা, শান্তি ও নিরাপত্তার প্রতীক। এই উদ্যোগের মাধ্যমে, আমরা সমাজের সবচেয়ে অসহায় মানুষের জন্য একটি সুরক্ষিত ও সুখী ভবিষ্যতের পথ তৈরি করতে চাই, যাতে তারা নিজেদের জীবন পুনর্গঠন করতে পারে। ফাউন্ডেশনটি নিয়মিতভাবে এই ধরনের বাসস্থান প্রকল্পের মাধ্যমে তাদের জন্য একটি সুন্দর ও সম্ভাবনাময় জীবন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে।"
কপিরাইট © 2025 আনকাবূত ফাউন্ডেশন। এসইও সার্ভিস কেয়ার দ্বারা ডিজাইন ও মার্কেটিং।